অন্যান্য কলকাতা 

সাংসদ হবেন ইউসুফ পাঠান আর জেতানোর দায়িত্ব হুমায়ুন কবিরের, মমতার এই সিদ্ধান্তে আরো বেশি ভোটে জিতবেন অধীর!

শেয়ার করুন

সেখ ইবাদুল ইসলাম : বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে জনপ্রিয় সাংসদ অধীর চৌধুরীকে হারাতে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আস্থা রাখলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবিরের উপরে। অধীর চৌধুরীর একসময় কার একান্ত বিশ্বস্ত সেনাপতি হুমায়ুন কবির কয়েক সপ্তাহ আগে পর্যন্ত ইউসুফ পাঠানকে বহরমপুরে প্রার্থী করার বিরোধিতা করেছিলেন। তিনি হুমকি দিয়েছিলেন নির্দল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার শেষ পর্যন্ত তৃণমূল ভবনের হস্তক্ষেপে এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর সুর পরিবর্তন করেন হুমায়ুন কবির।

মুর্শিদাবাদ জেলায় প্রচলিত একটি প্রবাদ আছে হুমায়ূন নামেই  তৃণমূলে আছেন কিন্তু তাঁর আত্মা পড়ে আছে কংগ্রেসে। এহেনো একজন গোপন কংগ্রেসিকে অধীর কে হারানোর জন্য ব্যবহার করাটা মমতার কাছে যে বুমেরাং হবে তা আর বলার অপেক্ষায় রাখে না। হুমায়ুনকে দায়িত্ব দিয়ে যদি অধীরের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয় তৃণমূলকে তাহলে কেন হুমায়ুনকে প্রার্থী করা হলো না এটা আমজনতার প্রশ্ন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইচ্ছাকৃতভাবে রাজ্যের বাঙালি মুসলিম সমাজকে অবহেলা অবাঞ্ছিত করার লক্ষ্যে গুজরাট থেকে নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য থেকে ইউসুফ পাঠানের মত একজন ক্রিকেটারকে এনে কেন অধীরের বিরুদ্ধে প্রার্থী করলেন! এটা মুর্শিদাবাদের বাঙালি মুসলমান সমাজ জানতে চাই। শুধু মুর্শিদাবাদ নয় পশ্চিমবাংলার প্রতিটি বাঙালি মুসলমানের কাছে এই প্রশ্নটা এখন স্বাভাবিকভাবে উঠে আসছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে সংখ্যালঘুদের ত্রাতা বলে দাবি করে থাকেন আর তার জন্য সংখ্যালঘু বাঙালি মুসলিম সমাজের কোন ব্যক্তিকে অধীরের বিরুদ্ধে প্রার্থী করা হলো না।

Advertisement

এই হচ্ছে বাঙালি মুসলিম সমাজ সম্পর্কে মমতার অবস্থান। যাই হোক অধীর রঞ্জন চৌধুরীর বিরুদ্ধে হুমায়ুন কবিরকে দায়িত্ব দেওয়ার ফলে আমার মনে হয় বেশ কয়েক লক্ষ ভোটের ব্যবধানে অধীর বাবু পুনরায় জিতবেন এবং সংসদে যাবেন। ইউসুফ পাঠানের মত ব্যক্তিকে নরেন্দ্র মোদির রাজ্য থেকে উড়িয়ে এনে বাংলায় যে ভোট পাওয়া যাবেনা সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুদিন পরেই উপলব্ধি করতে পারবেন। আসলে এই রাজ্যে বিজেপিকে সুবিধে করে দেওয়ার জন্য শাসক দলের এক শ্রেণী তৎপরতা চালাচ্ছে মূলত তাদেরই পরামর্শে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে আমাদের মনে হয়েছে।

Advertisement :

 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মালদাতে গিয়ে বলেছেন তিনি নাকি একমাত্র এই রাজ্যে বিজেপি বিরোধী। বাকি সবাই বিজেপির এজেন্ট। রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যানী কয়েক সপ্তাহ আগেও বিজেপির বিধায়ক ছিলেন কিন্তু এখন তিনি তৃণমূলের প্রতীকে লোকসভার প্রার্থী। রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কার্তিক পাল কয়েকমাস আগে পর্যন্ত কালিয়াগঞ্জ পুরসভার প্রধান ছিলেন তৃণমূলের পক্ষে এখন তিনি বিজেপির প্রার্থী পদ্মফুল এবং ঘাসফুলের কোন নেতা যে কোন দিকে আছে তা হয়তো ভগবানও উত্তর দিতে পারবেন না। আর এই সকল সেনাবাহিনী নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করবেন এটা আর যাই হোক এই রাজ্যের বাঙালি মুসলমান সমাজ যে বিশ্বাস করবে না তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ